BG photo by GarryKillian
‘আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা-২০ তহা, আয়াত: ১৪)
‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা-২৯ আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)

SALAH

রুকু ও সিজদাহ

রুকুঃ

পবিত্র কুরআনে রুকু শব্দটি ১৩ বার আছে । আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱرۡكَعُواْ وَٱسۡجُدُواْۤ وَٱعۡبُدُواْ رَبَّكُمۡ وَٱفۡعَلُواْ ٱلۡخَيۡرَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ
বাংলা অনুবাদঃ “হে মুমিনগণ, তোমরা রুক কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে” (হজ্জঃ আয়াত ৭৭)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু ও সেজদায় কুরআন থেকে নিষেধ করে বলেনঃ

ألا وإني نُهيت أن أقرأ القرآن راكعًا أو ساجدًا، وأما الركوع فعظِّموا فيه الرب ، وأما السجود فاجتهدوا في الدعاء فقَمِنٌ أن يُستجاب لكم
বাংলা অনুবাদঃ “আমি তোমাদেরকে রুকু ও সেজদা অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত থেকে নিষেধ করছি, তোমরা রুকুতে আল্লাহর বড়ত্ব বর্ণনা কর এবং সেজদায় বেশী বেশী দো‘আ কর । এটা দো‘আ কবুলের উপযুক্ত সময়” (মুসলিমঃ ৪৭৯)

রুকুর দোয়াঃ ( سبحان ربي العظيم ) সুবহানা রাব্বিআল আজিম (তিরমিযী, আবু দাউদ, মেশকাত ৮৩ পৃঃ)

রুকু থেকে উঠার সময়ঃ ( سمع الله لمن حمده ) সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা (বুখারী, মেশকাত ৭৫ পৃঃ)

বলার পরঃ ( ربنا لك الحمد ) ( حمدًا كثيرًا طيبًا مُباركًا فيه ) রাব্বানা লাকাল হামদু হামদান কাছীরান তায়্যিবাম মুবারাকান ফীহ (বুখারী ১১০ পৃঃ; মেশকাত ৮২ পৃঃ)

উচ্চঃস্বরে ربنا لك الحمد রাব্বানা লাকাল হাম্‌দ বলা যায় দেখুন (মেশকাত মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ২য় খন্ড হাঃ ৮১৪, ৮১৫, ৮১৭; মেশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ৮১৪ হতে ৮১৭ পর্যন্ত)

সিজদাহঃ

পবিত্র কুরআনে সেজদা শব্দটি ৯২ বার আছে ।

ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

أمرت أن أسجد على سبعة أعظم: على الجبهة – وأشار بيده على أنفه – واليدين، والركبتين، وأطراف القدمين، ولا نكفُت الثياب والشعر» وفي لفظ لمسلم: «ولا أكفّ ثوبًا ولا شعرًا
বাংলা অনুবাদঃ “আমাকে সাত অঙ্গের উপর সেজদা করার নিদের্শ দেয়া হয়েছে: কপাল- এর সাথে তিনি ইশারা করে নাকের দিকে ঈঙ্গিত করেছেন- দু’হাত, দু’হাটু, দু’পায়ের সম্মুখভাগ, আর আমরা কাপড় ও চুল আটকে রাখব না”; মুসলিমের বর্ণনায় আছে: “আমি যেন কাপড় ও চুল আটকে না রাখি” (বুখারি: ৮১২; মুসলিম: ৪৯০)

প্রথমে দুই হাত মাটিতে রাখতেন (সহীহ ইবনে খুযায়মা, দারা কুতনী, মুসতাদরাকে হাকিম, মেশকাত হাঃ নং ৮৯৯)

তারপর হাটু রাখতেন, হাতের তালু মাটিতে বিছিয়ে রাখতেন (আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ, বায়হাকী, মেশকাত হাঃ নং ৯০৫)

সেজদায় যেতে প্রথমে হাত পরে হাটু রাখার আরও দলিল দেখুন (মেশকাত মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ২য় খন্ড হাঃ ৮২৯; মেশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ৮২৯; মুসলিম শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৯৮৫)

আবু হুমাইদ সায়েদি থেকে বর্ণিত হাদিসে রয়েছেঃ

فإذا سجد وضع يديه غير مفترشٍ ولا قابضهما، واستقبل بأطراف أصابع رجليه القبلة
বাংলা অনুবাদঃ “যখন সেজদা করবে উভয় হাতকে বিছিয়ে রাখবে না, আবার মুষ্টিবদ্ধ করেও রাখবে না, পাযের আঙ্গুলগুলো কিবলামূখী করে রাখবে” (বুখারি: ৮২৮)

সেজদার সময় মাটিতে হাত বিছিয়ে না দেওয়া দেখুন (মিসকাত-মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ২য় খন্ড হাঃ ৮২৮; মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ৮২৮; বাংলা অনুবাদ বুখারি মাওলানা আজীজুল হক ১ম খন্ড হাঃ ৪৭১; সহিহ আল বুখারি আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৭৬; সহিহুল বুখারী তাঃ পাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮২২; বুখারী শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৯৮৩, ৯৮৪; আবু দাউদ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮৬২; তিরমিযী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ২৭৫; জামে তিরমিযী মাওলানা আব্দুন নূর সালাফী ১ম খন্ড হাঃ ২৬৪, ২৬৫)

উভয় পা মিলিয়ে রাখবে । আয়েশা থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে: “আমি তাকে সেজদা অবস্থায় পেলাম, তার দু’নো গোড়ালি মিলানো ছিল এবং পায়ের আঙ্গুলগুলো ছিল কিবলামুখী” (সহিহ ইব্‌ন খুজাইমা: ৬৫৪; বায়হাকি: ২/১১৬)

সেজদার দোয়াঃ سبحان ربي الأعلى সুবহানা রাব্বিআল আ’লা (তিরমিযী, আবু দাউদ, মেশকাত ৮৩ পৃঃ; মুসলিম ২৬৪ পৃঃ)

প্রথম সেজদা থেকে উঠে বাম পায়ের পাতার উপর বসতেন এবং ডান পা খাড়া রাখতেন (বুখারী, আবু দাউদ, মেশকাত হাঃ নং ৭৯২)

দুই সিজদার মাঝখানে বসে দুয়াঃ

اللهم اغفر لي وارحمني وعافني واهدني وارزقني
আরবি উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগ ফিরলী, ওয়ারহামনী, ওয়াআফিনী, ওয়াহদিনী, ওয়ার যুক্বনী (আবু দাউদ ১২৩ পৃঃ; মেশকাত ৮৪ পৃঃ)

SALAH

তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু)

তাশাহহুদ (আরবি: تَشَهُّد), আত্তাহিয়্যাতু নামেও পরিচিত, অর্থ হচ্ছে ইমানের সত্যায়ন। মুসলিমগণ সালাতের মধ্যে বসা অবস্থায় তাশাহহুদ পড়ে থাকেন। তাশাহহুদের দুটি অংশ। প্রথম অংশে আল্লাহর উদ্দেশে তাসবিহ এবং দ্বিতীয় অংশে রাসূলের উদ্দেশ্যে দরুদ পড়া হয়ে থাকে।

নামকরণঃ
এই সুরার নাম টি এর প্রথম আয়াত থেকে উদ্ভূত। "কাওসার" শব্দটি কুরআনে একবারই ব্যবহৃত হয়েছে। শব্দটি "আরবি: ق-س-ر" এর মূল থেকে উদ্ভূত, যা "অফুরন্ত " এর ওজনের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যার অর্থ এমন প্রাচুর্য যা হ্রাস পায় না। আল কাওসার প্রথম আরবি অর্থ "প্রাচুর্য" এর কবিতায় ব্যবহৃত হয়। রাঘেব ইস্পাহানি তার বই The Book of Singularities তে "প্যারাডাইস ক্রিক" শব্দ দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন,যে এটি নবী মুহাম্মাদের উপরের আল্লাহ বিরাট কল্যাণ ও অনুগ্রহ। মাজমাই আল-বাহরাইন এবং আবু মনসুর 'আব্দ আল-মালিক আল-সা'লাবির ফিকহ-এ তারিহির অর্থ "কল্যাণের প্রভু"। আল-আরবের ইবনে মাঞ্জুরী কাওসারের অর্থকে "সবকিছুতে ভাল" বলে মনে করেন এবং কাওসারের বিভিন্ন অর্থ ও ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন। আল-কামুস আল-মুহিয়াত ফিরুজাবাদী আল-কাওসার অর্থ "প্রচুর পরিমাণে" এবং "খাঁড়ি" বা "করুণাময় মানুষ" এর মতো অন্যান্য অর্থকে বুঝিয়েছেন।
যদিও ইবনে আশুর, একজন সুন্নি তাফসিরবিদ, শুধুমাত্র সূরার নামকে "কাওসার" বলে মনে করেন।


উচ্চারণ ও অর্থঃ

তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু)

، التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু;
অর্থঃ সব মৌখিক ইবাদত আল্লাহর জন্য
، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ
উচ্চারণঃ আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ;
অর্থঃ হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক।
، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ
উচ্চারণঃ আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন;
অর্থঃ শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর বর্ষিত হোক।
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণঃ আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।

তাশাহহুদ পড়ার বিশেষ ফজিলতঃ
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমরা যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে নামাজ পড়তাম; তখন বলতাম, ‘আসসালামু আলা জিবরিলা ওয়া মিকালা এবং আসসালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান’। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেন-
আল্লাহ নিজেই তো সালাম, তাই যখন তোমরা কেউ সালাত/নামাজ আদায় করবে, তখন সে যেন বলে-

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ

"কেননা, যখন তোমরা এটি বলবে তখন আসমান ও জমিনে থাকা আল্লাহর সব নেক বান্দার কাছে তা (শান্তি) পৌঁছে যাবে। আর এর সঙ্গে তোমরা (তাওহিদের কালেমার সাক্ষ্য) أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ এটিও পড়বে।"

SALAH

দুরুদে ইব্রাহীম (দরুদ শরীফ)

সর্বোত্তম দুরুদ হচ্ছে দুরুদে ইব্রাহীম, যা আমরা সবাই সালাতে পাঠ করে থাকি। আপনি দুরুদে ইব্রাহীম পড়ে যে সওয়াব ও ফযীলত পাবেন, অন্য কোন দুরুদ পড়ে তার সমান সওয়াব ও ফযীলত পাবেন না।

উচ্চারণ ও অর্থঃ

দুরুদে ইব্রাহীম (দরুদ শরীফ)

،اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আ-লি মুহা’ম্মাদ,
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করুন,
،كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণঃ কামা সল্লাইতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ।
অর্থঃ যেমন আপনি ইব্রাহীম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করেছিলেন, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান।
،اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মুহা’ম্মাদ,
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি বরকত দান করুন,
كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণঃ কামা বা-রাকতা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম। ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ।
অর্থঃ যেমন আপনি ইব্রাহিম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি বরকত দান করেছিলেন, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান।

SALAH

দোয়া মাসুরা

আমারা অনেকে সালাতে সালাম ফিরানোর আগে দোয়া মাসুরা পড়ে থাকি। অনেকে আবার পড়ি না। সালাতে যেসব জায়গায় আল্লাহ্‌ দোয়া কবুল করে থাকেন তার মধ্যে একটি হল সালাম ফিরানোর আগে। দোয়া মাসুরা মুলত ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া।

উচ্চারণ ও অর্থঃ

দোয়া মাসুরা

،اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের ওপর অনেক যুলুম করেছি।
،وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণঃ ওয়ালা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
অর্থঃ আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না।
فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفورُ الرَّحيمُ
উচ্চারণঃ ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন 'ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম
অর্থঃ অতএব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু

SALAH

দোয়া কুনুত

দোয়া কুনুত (আরবি: القنوت) বিতর সালাতে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) মাঝে মাঝে দুয়া কুনুত পাঠ করতেন। এক/তিন/পাঁচ/সাত/এগারো রাকাত বিতের সালাতের শেষ রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে বা রুকু থেকে উঠে দুই হাত তুলে বা বেধে দুআ কুনুত পাঠ করতে হয়

উচ্চারণ ও অর্থঃ

দোয়া কুনুত

اَللَّمُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্‌তাঈ’নুকা, ওয়া নাস্‌তাগ্‌ফিরুকা, ওয়া নু’’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ’, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, – ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা – আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্‌ফারি মুলহিক্ব।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।

SALAH

নামাজে সালাম

নামাজ সম্পন্ন করার জন্য সালাম ফেরানো ওয়াজিব।

সালাম ফিরানোর সঠিক নিয়মঃ

প্রখ্যাত ফকিহ মাওলানা রশদ আহমাদ গাঙ্গুহি (রহ.) বলেন, ‘চেহারা সামনে থাকা অবস্থায় সালাম শুরু করবে, এরপর ডান দিকে চেহারা নিতে নিতে সালাম শেষ করবে।’ (আল-কাউকাবুদ্ দুররি : ১/২৮৯-২৯০)

বিখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘কেবলার দিকে চেহারা থাকা অবস্থায় সালাম শুরু করবে এবং চেহারা ঘুরানো অবস্থায় সালাম সম্পন্ন করতে থাকবে। যাতে চেহারা ঘুরানো শেষ হওয়ার সাথে সালামও শেষ হয়ে যায়। (আলমাজমু শরহুল মুহাজ্জাব : ৩/৪৫৮)

আরবি উচ্চারণঃ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ।

বাংলা অর্থঃ তােমার প্রতি আল্লাহ তাআলার শান্তি ও কৃপা বর্ষিত হােক।